সেই সুকারের হাত ধরেই স্বপ্নের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া

এবারের বিশ্বকাপের শিরোপার মূল দাবিদার হিসেবে ক্রোয়েশিয়া আসেনি। কিন্তু তারকা খেলোয়াড়ে ভরা দলটির বিশ্বকাপ জয়ের সামর্থ্য নিয়ে কারও সন্দেহের কোনো অবকাশ ছিল না। আর সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেই ক্রোয়েশিয়াই বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফির জন্য ১৫ জুলাই ফ্রান্সের বিপক্ষে লড়বে।

গতকাল সেমিফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারায় ক্রোয়েশিয়া। জয়সূচক গোলটি করেন মানজুকিচ। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও যোগ করা তিন মিনিটে কেউ গোল করতে না পারলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আর অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার ৪ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মানজুকিচ। বাকী সময় অনেক চেস্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ইংলিশরা।

এই জয়ে নিজদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে ক্রোয়েশিয়া। অর্থাৎ ১৯৯৮ সালের ডেভর সুকারের ক্রোয়াটদেরও ছাড়িয়ে গেল মদ্রিচ-রাকিটিচরা।

যুগোস্লাভিয়া থেকে আলাদা হওয়ার পর ক্রোয়েশিয়া প্রথম বিশ্বকাপ খেলে ১৯৯৮ সালে। প্রথমবারেই বাজিমাত করে তারা। ডেভর সুকারের অসাধারণ নৈপুণ্যে ক্রোয়েশিয়া সেবার পৌঁছেছিল সেমিফাইনালে। স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়। পরে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে হয়েছিল তৃতীয়। ডেভর সুকার ৬ গোল করে জিতেছিলেন গোল্ডেন বুট।

সেই সুকার এবার ক্রোয়েশিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি। আর তার অধীনেই ক্রোয়াটরাও পেয়ে গেছে তাদের ইতিহাসে অন্যতম সেরা দলটিকে। দলটিকে সোণালি প্রজন্ম বললেও ভুল হবে না। মদ্রিচ, রাকিতিচ, মানজুকিচ, পেরিসিচ, কোভাচিচ, রেবিক, সুবাসিচ, লভরেন ডেজান- তারকার অভাব নেই। তাই প্রত্যাশা মতোই এখনো বিশ্বকাপে টিকে আছে ক্রোয়েশিয়া।

ফাইনাল পারলেই নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়ে যাবে। ফুটবল বিশ্বও পেয়ে যাবে ৯মতম নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ক্রোয়েশিয়ার জয়জয়কার ছড়িয়ে পড়বে তখন দিগ থেকে দিগন্তে। লুকা মদ্রিচ কিংবা রাকিটিচরা হয়ে যাবে মেসি-নেইমার-রোনালদোর চেয়েও বড় তারকা।